স্পোর্টস ডেস্ক:ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলমান মৌসুম যদি শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায় তাহলে ক্রিকেটারদের পরবর্তী ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত রাখতে পর্যাপ্ত অনুশীলন ম্যাচ খেলার প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) খেলোয়াড়দের নিয়ে পর্যাপ্ত অনুশীলন ও সফরের ব্যবস্থার কথা ভাবছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান মনে করছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতি যদি আরও তিন মাস অব্যাহত থাকে তাহলে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ডিপিএল বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে আকরাম খান বলেন, আশা করছি, এ পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই কেটে যাবে। কিন্তু এটি যদি আরও তিন মাস অব্যাহত থাকে, তবে ঢাকা প্রিমিয়ার না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় খেলোয়াড়দের কিভাবে খেলার জন্য প্রস্তুত রাখা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচি রয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে সরকার অনানুষ্ঠানিক লকডাউন ঘোষণা করেছে। ফলে খেলোয়াড়রা নিজ নিজ ঘরে লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। ফিজিও কোচিং স্টাফদের প্রেসিক্রিপশন মোতাবেক, তারা নিজেদের বাড়িতে জিম এবং ফিটনেস ট্রেনিং করছেন।
বাড়ি ও মাঠের অনুশীলনের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে জানেন আকরাম খান। তবে ঘরে বসে ফিটনেস ট্রেনিং করলে খেলোয়াড়রা নিজেদের ফিট রাখতে পারবে বলেও মনে করছেন তিনি।
আকরাম খান বলেন, তারা (খেলোয়াড়রা) নিয়মিত অনুশীলন করলে অন্তত নিজেদের ফিট রাখতে পারবে। ফিট রাখার জন্য তাদেরকে ফিটনেস পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোচিং স্টাফরা তাদের সাথে নিয়মিত আলোচনা করছেন। আশা করছি, এটি তাদের সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠে ফেরার পর তাদের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং এ জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ম্যাচের ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণত আমরা যা করি তা হচ্ছে বিভিন্ন স্তরের যেমন, ‘এ’ বা এইচপি দলকে ক্রিকেটে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি। আমরা নিয়মিতভাবে ‘এ’ দল এবং এইচপি দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ দল বা অন্য বয়সভিত্তিক দলের সফরের ব্যবস্থা করছি।
মহামারি শেষ হয়ে গেলে আমাদের সেই সব সফরের প্রতি জোড় দিতে হবে, যাতে খেলোয়াড়রা ম্যাচ খেলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখতে পারে- যোগ করেন তিনি।